Wednesday, August 7, 2019

আমার প্রিয় খাবার

হালাল খাবার তো সবই খাই, কোনটাকে বাদ দিয়ে আমি কোনটার গুণগান গাই!

এই প্রেজেন্টেশন দেখে ভাবছিলাম, আমি মনে হয় কিছুই লিখতে পারব না। তাও লিখা শুরু করলাম।
আসলেই আমি সব খাবারই খাই। যখন যেটা খাই সেটাই আমার ভালো লাগে। একটার সাথে অন্যটার তুলনা দিতে পারি না। আমার পছন্দের খাবার কী...সেই উত্তর দেওয়াটা আমার জন্য কঠিনই বটে। গরিব ঘরে জন্মেছি। সেরম পছন্দনীয় খাবার যে রান্না হতো, তাও না। সামান্য একটুকু তারকারি আর ভাতটুকুই অমৃত মনে হতো। শহরে থাকছি ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। ফুফুর বাসায় থাকার সুবাদে নানান ধরণের তরকারি, খাবার খাওয়া হয়েছে। তবে অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার বরাবরই অপছন্দের৷ সাদামাটা খাবারই ভীষণ ভালো লাগে। বিরিয়ানির চেয়ে সাদা ভাতটা খুব পছন্দের।  তবে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি, টকজাতীয় আচার আর ভাজা মাছের টুকরো হলে তো আর কথাই নেই। (এটা লিখতে লিখতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল)। সাথে থাকে সাদা সবজি ভাজি। গাজর, ক্যাপসিকাম, আলু, গোশতের টুকরো, মটরশুঁটি ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদানে তৈরি। আর হ্যাঁ, চিকেন ফ্রাই, লইট্যা মাছ ফ্রাই দারুণ লাগে খেতে। শুকনো সাদা ভাতের সাথে যদি তিত করলা ভাজি হয় না, আমার আর কিছু লাগবে না। তিত করলা ভাজি দিয়েই শুকনো ভাত খেয়ে ফেলতে পারবো। ফুফুর হাতের সব ধরণের ভাজিই খেতে অসাধারণ লাগে আমার। ঢেঁড়স ভাজি, আলু ভাজি, করলা ভাজি ইত্যাদি৷ আর সবুজ শাকও আছে পছন্দের খাবারের তালিকায়। কলমি শাক, পাট শাক, টক পাতার ঝোল, ঢেকিশাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক নানান ধরণের নাম না জানা শাক ফুফু রান্না করে। সবগুলোই মজাদার হয়। সাদা ভাত, শাক আর কাঁচা মরিচ ভিন্ন স্বাদের জন্ম দেয়।

তাছাড়া আলু ভর্তা, ডালভাত খেয়ে কিন্তু তৃপ্তির ঢেঁকুর সকলেই তুলে। আমিও বা বাদ যাই কেন?

আর হ্যাঁ, ইলিশ মাছের নানান পদের রান্নার তো জুড়ি মেলা ভার। ফুফুর হাতে জাদু আছে। সব রান্নাই এত ভালো করে, বলে বুঝানো যাবে না। খেয়ে টেস্ট করতে হবে। গতকালও ফুফা ইলিশ নিয়ে এল। দিদি নাম্বার ওয়ানে ইলিশ নিয়ে সবাই বলেছিল। রচনা ব্যানার্জি সবশেষে বলেছিল...আজকে সবার মনে হবে ডিনারটা যদি ইলিশ দিয়ে হয়। ফুফা রাতেই ডিমে ভর্তি ইলিশ নিয়ে। আহা: ইলিশের ডিমভাজাটা সেই টেস্টি হয়েছে। ওহ হ্যাঁ, যে কোনো ধরণের মাছ ভাজা আমি অবলিলায় গলাধঃকরণ করতে পারি। অতিরিক্ত ভালো লাগে ভাজা মছমছে মাছ খেতে।

খাবারের কথা কি আর বলবো? কত মজার মজার পদ সব তো মনেও নেই। গোটা রসুন দিয়ে গরুর গোশত রান্না ওটাও দারুণ লাগে খেতে। আর গোশতের ঝোলে নরম হওয়া পুরো রসুনটা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও গরুর গোশত আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় নেই। তাও মাঝেমধ্যে এত ভালো লাগে, মনে হয় এটাই আমার প্রিয় খাবার। তবে গোশত-পরোটা খেতে ভালো লাগে। মায়ের হাতের বানানো।

মিষ্টিজাতীয় খাবার একটু কমই পছন্দ করি। তাও টক দই খেতে ভালো লাগে। মিষ্টির মধ্যে কালো জাম, সন্দেশ, আফলাতুন, হিস্যা (ঠিক নামটা ঠিক জানি না। দইয়ের মতো নরম টাইপের), লাচ্ছিটাও পছন্দের তালিকায় পড়ে। আর আছে ফ্রুট সালাদ। খুব ভালো লাগে খেতে।

দুধ চা যদিও অপছন্দের তবে...লেবু আর আদা চা এক কাপ খেতে পারলে দারুণ লাগে।

সবশেষে আমার কোন খাবার প্রিয় তা বিশেষভাবে বলা যাবে না। সময়ভেদে, আবহাওয়া ভেদে খাবারের প্রতি পছন্দনীয়তা পাল্টায়।

ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments:

শামসুর রাহমান শামসুর রাহমান ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার রূপকার। বিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্র...