Sunday, August 25, 2019

বাংলাদেশের রপ্তানি খাত 


রপ্তানি শব্দের অর্থ হল- বিক্রয়ের জন্য পণ্যদ্রব্য বিদেশে প্রেরণ।

১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে আসছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ সালে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৪৮.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; যার সিংহ ভাগ (৯০%) আসত পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে। তৎকালীন অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল চা শিল্প ও চামড়া শিল্প। পরবর্তী চার দশকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানোর পেছনে প্রধান খাত হলো তৈরি পোশাক শিল্প। মোট জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। এর বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হলো ওষুধ শিল্প। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ দেশের ৯৮% চাহিদা পূরণ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওষুধ রপ্তানির প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫%। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুন্নত ৪৮টি দেশের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে। এছাড়াও আছে  হিমায়িত ও কাঁচা মাছ, যার চাহিদা বিশ্বে প্রচুর। আরো আছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাখাত। ২০১৮ সালে এই খাত থেকে আয় ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব  সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এবং সফটওয়্যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই খাত বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫ টি রপ্তানি খাতের একটি। রপ্তানি খাতের মধ্যে আরো আছে আরো আছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ১৭৯২ কোটি মার্কিন ডলার বা ৯৫.৮৪ শতাংশ।

মূলত রপ্তানি খাতই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আর যে দেশের রপ্তানি খাত যত বেশি ও যত উন্নত সেই দেশ অর্থনৈতিক ভাবে ততবেশি শক্তিশালী।

ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments:

শামসুর রাহমান শামসুর রাহমান ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার রূপকার। বিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্র...